|
image: Collected |
ভারতের চলচ্চিত্র জগতের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি '৭১তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২৫' সম্প্রতি ঘোষিত হয়েছে, যা বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছে। ৩৩ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো তিনি সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেছেন। তার এই অর্জন ভারতীয় চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মধ্যে এক নতুন উন্মাদনার সৃষ্টি করেছে।
১৯৯২ সালে 'দিওয়ানা' সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হওয়ার পর থেকে শাহরুখ খান রোম্যান্স, অ্যাকশন, কমেডি, এবং ড্রামার মতো বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে অসংখ্য দর্শকের মন জয় করেছেন। কিন্তু দেশের সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র সম্মাননা 'জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার' তার ঝুলিতে অধরা ছিল। 'জাওয়ান' (২০২৩) সিনেমায় তার অনবদ্য পারফরম্যান্সের জন্য অবশেষে সেই প্রতীক্ষার অবসান হলো। এই পুরস্কারের মাধ্যমে তার অভিনয় দক্ষতার গভীরতা এবং বৈচিত্র্যকে নতুন করে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। 'জাওয়ান' সিনেমার রোম্যান্স, অ্যাকশন, এবং ড্রামার অসাধারণ মিশ্রণ তাকে বক্স অফিস সাফল্যের পাশাপাশি সমালোচকদের প্রশংসাও এনে দিয়েছে।
শাহরুখ খানের সঙ্গে যুগ্মভাবে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন বিক্রান্ত ম্যাসি, যিনি 'টুয়েলভথ ফেল' সিনেমায় তার অসাধারণ অভিনয়ের জন্য এই সম্মাননা লাভ করেন। উল্লেখ্য, এটি বিক্রান্তেরও প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
'মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে' ছবিতে হৃদয়স্পর্শী ও বাস্তবধর্মী অভিনয়ের জন্য এবার সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন রানী মুখার্জি। অন্যদিকে, 'জাওয়ান' সিনেমার গান গেয়ে সেরা নারী প্লেব্যাক গায়িকার সম্মাননা পেয়েছেন শিল্পী শিল্পা রাও। 'দ্য কেরালা স্টোরি' সিনেমার জন্য সেরা পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন সুদীপ্ত সেন। 'টুয়েলভথ ফেল' সিনেমাটি সেরা ফিচার ফিল্মের পুরস্কার পেয়েছে, এবং সেরা বাংলা ছবির শিরোপা জিতে নিয়েছে পরিচালক অর্জুন দত্তের 'ডিপ ফ্রিজ'।
১৯৫৪ সালে প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হয়। ভারতীয় শিল্প ও সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে ভারত সরকার এই পুরস্কার প্রবর্তন করে। এটি শুধুমাত্র একটি পুরস্কার নয়, বরং ভারতীয় চলচ্চিত্রের মান এবং সৃজনশীলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি হিসেবে বিবেচিত হয়। বছরের পর বছর ধরে এই পুরস্কার ভারতের চলচ্চিত্র অঙ্গনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্মানিত স্বীকৃতি হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। এই পুরস্কারে বিজয়ীদের 'রজত কমল' (রুপোর পদ্ম), একটি শংসাপত্র এবং আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হয়।
শাহরুখ খানের এই অর্জন তার ক্যারিয়ারে এক নতুন পালক যোগ করেছে এবং ভারতীয় চলচ্চিত্রে তার অসামান্য অবদানকে আরও একবার সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks for your Comment.